BD Arena


Join the forum, it's quick and easy

BD Arena
BD Arena
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা

2 posters

Go down

বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা Empty বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা

Post by Tonmoy Fri Dec 16, 2011 1:13 am

বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা



পশ্চিমা বিশ্বের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের খোরপোশের ব্যব্স্থা করে থাকে। বৃটেনে অবস্থানের শুরুতে বিষয়টি আমার কাছে খুবই বেখাপ্পা ঠেকেছে। বুঝে আসেনি এর পশ্চাৎগত কারণ কী হতে পারে। আমি যখন ট্রেনে চড়ে কোথাও যেতাম অথবা কোনো রেষ্টুরেন্টে প্রবেশ করতাম তখন এ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখে বিস্মিত হতাম। কিছুদিন পর অবশ্য এ বিস্ময়াবিষ্টতা কেটে যায়। আমি একজন মনোচিকিৎসক। চিকিৎসার প্রয়োজনে আমার চেম্বারে আসা নারীদের বহু কাহিনী শুনতে হয়েছে। এসব থেকে আমি বুঝতে সক্ষম হয়েছি মূল সমস্যাটি কোথায়। বুঝতে পেরেছি যে বিয়ের ব্যাপারে পাশ্চত্যের পুরষ সমাজ কীভাবে নিরাগ্রহ হয়ে পড়েছে। এর পরিবর্তে তারা বরং গার্লফ্রেন্ড সংস্কৃতিতে আপন করে নিয়েছে। এ সংস্কৃতির পরিভাষা অনুসারে নারীর পুরুষ সঙ্গীকে বলে বয়ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড অর্থ বন্ধু। তার অর্থ নারী-পুরুষ একে অন্যোর বন্ধু, ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ডশিপের ছায়াতলে একে অন্যের সঙ্গী হয়ে জীবনযাপন করার কালচারে তারা গা ভাসিয়ে দিয়েছে। অনেকের কাছে ধারনাটি লোভনীয় মনে হতে পারে। তবে আসল ব্যাপারটা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। কেননা বন্ধুত্বের দু:লঙ্ঘনীয় শর্ত ও দাবি হল সত্যবাদীতা, অনুরাগ, বদান্যতা, ওফাদারি ইত্যাদি। পাশ্চত্য সভ্যতার আওতায় ফ্রেন্ডশিপ কালচার এসব থেকে দূরে, বহু দূরে।

পশ্চিমা বিশ্বে বয়ফ্রেন্ড বলতে এমন এক পুরুষকে বুঝায় যে তার পছন্দের কোনো নারীর সাথে কয়েক মাস বা কয়েক বছর কাটাতে সম্মত হয়। খোরপোশের দায়িত্ব অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীকেই বহন করতে হয়। বয়ফ্রেন্ড যেন হাতছাড়া না হয়ে যায় সেই চাহিদা থেকেই নারীরা টাকা পয়সা ব্যয় করে পুরুষদের মন জোগানোর চেষ্টায়। তবে অপ্রিতিকর ব্যাপার হল পুরুষ ব্যক্তিটি যেকোনো মূহুর্তে তার গার্লফ্রেন্ডকে ছেড়ে অন্য কোনো নব্য গার্লফ্রেন্ডকে সঙ্গী করে নেয়। অথবা তাকে চলে যেতে বলে।

উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরেকটু পরিস্কার হবে বলে মনে করি। মনোচিকিৎসা ক্লিনিকে বিশ-বাইশ বছরের এমন এক নারীর সাথে আমার দেখা যার মনোজগৎ বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েছে দারুনভাবে। হারিয়ে ফেলেছে মানসিক ভারসাম্য। কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর খানিকটা সুস্থ হলেন ভদ্র মহিলা। ফিরে পেলেন বোধশক্তি। এসময় আমি তার অতীত জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলাম । একবুক ব্যথা নিয়ে কেঁদে-কেঁদে তিনি বলে গেলনে, আমি উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কালাতিপাত করি। আমার বয়ফ্রেন্ড কখন যে আমাকে ছেড়ে চলে যায় তাই নিয়ে ভাবতে থাকি সারাক্ষণ। আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেও সাহস পাই না। কেননা এ ধরনের প্রস্তাব হয়ত বিপরীত ফল বয়ে আনবে। সে আমার সাথে তখনি সম্পর্ক চুকিয়ে অন্যত্র চলে যাবে। জনৈক ব্যক্তি আমাকে পরামর্শ দিলেন, সন্তান ধারণ করতে। হয়ত এ সন্তান তাকে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহি আগ্রহী করে তুলবে। এই তো সেই সন্তান যাকে আমি বহু আশায় বহু প্রত্যাশায় পেটে নিয়েছি। এখন তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন আমার রূপ-লাবণ্যে ভাটা পড়েছে। বয়ফ্রেন্ডকে ধরে রাখার কোনো কৌশলই আমি বাদ রাখিনি। বহু অর্থ কড়ি আমি তার পেছনে উজাড় করেছি। এরপরও আমি তাকে বিয়েতে রাজি করাতে পারিনি। আমার অসুস্থ হওয়ার পেছনে এটাই একমাত্র রহস্য। আমি নিজেকে খুবই অসহায় মনে ভাবি। এই ধরাধামে আমার কেউ নেই। আমার কোনো স্বামী নেই যে আমাকে জীবনের ভার বহন করতে সাহায্য করবে। আমার পরিবার রয়েছে কিন্তু তাদের থাকা- না- থাকা সমান। হায় আফসোস আমি যদি এ সন্তান ধারণ না করতাম। কেননা সে আমার মতোই দু:খে, কষ্টে জীবন কাটাবে তা আমি ভাবতেই পারি না।

এই অসুস্থ নারী পশ্চিমা সমাজের কোনো অপাংতেয় ঘটনা নয়। এ কাহিনীও কোনো বিরল কাহিনী নয়। এটাই বরং পাশ্চত্যের স্বাভাবিক চেহারা। আর অস্বাভাবিক হল শান্তি ও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা প্রেমময় জীবন। তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যের লোকেরা আমাদের মুসলিম সমাজের সমালোচনায় পঞ্চমুখ। তারা মনে করে মুসলিম সমাজের নারীরা ভাগ্যবিড়ম্বিত, নাজেহাল অবস্থায় কালাতিপাত করে থাকে। আমাদের ব্যাপারে ওরা কী ধারণা রাখে সেটা, আমার বিবেচনায়, গুরুত্বের বিষয় নয়। আমাদের মুসলিম নারীরা ইসলামের যে অমূল্য সম্পদ পেয়েছেন তার কতটু শুকরিয়া তারা আদায় করছেন সেটাই এখন বিবেচনার বিষয়। ইসলাম নারীকে যে সম্মানের আসন দিয়েছে তা সত্যিই ইর্ষার ব্যাপার। আমাদের সমাজে নারীকে পুরুষের পেছনে দৌড়াতে হয় না। অর্থ কড়ি ব্যয় করে পুরুষের মন জোগানোর চেষ্টায় মত্ত হতে হয় না, এর উল্টো বরং পুরুষরাই বের হয় পাত্রীর তালাশে । সন্ধান পেলে প্রস্তাব পাঠায়। এ প্রস্তাব হয়ত গৃহিত হয় অথবা হয় প্রত্যাক্ষাত। বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর পরিবারেরও থাকে বিরাট ভূমিকা। আমাদের সমাজে পুরুষরাই বরং নারীর তাবৎ খরচাপাতি বহন করে। কোনো কোনো মুসলিম দেশে তো নারীর বিয়ের নজরানা <মহরানা> আকশচুম্বি। পুরুষকে পোড়াতে হয় বহু কাঠখর মহরানা টাকা জোগার করে নারীর হাত তলব করতে।

বয়ফ্রেন্ড কালচার নারী সমাজের জন্য অভিশাপ বৈ অন্য কিছু নয়। এ অভিশাপ যেন আমাদের সমাজকে গ্রাস করে না ফেলে সে জন্য নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবইকে কাজ করে যেতে হবে নিরলসভাবে।

Tonmoy
Junior Member
Junior Member

Posts : 117
Join date : 2011-11-26

Back to top Go down

বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা Empty Re: বয়ফ্রেন্ড কালচার ও অসহায় পশ্চিমা নারী, ড. আব্দুল্লাহ খাতেরের অভিজ্ঞতার কড়চা

Post by dipu Sat Dec 24, 2011 5:35 pm

আমরা মুসলমানরা ভালোই আছি।
dipu
dipu
Junior Member
Junior Member

Posts : 84
Join date : 2011-12-18

Back to top Go down

Back to top


 
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum