ব্যাঙের সুরক্ষা জিনের সন্ধান
Page 1 of 1
ব্যাঙের সুরক্ষা জিনের সন্ধান
[You must be registered and logged in to see this image.]
নেহাত হেলাফেলার জীব আর বলা যাবে না ব্যাঙকে। বিজ্ঞানীরা এমন কিছু খুঁজে পেয়েছেন এই প্রাণীটির দেহে, যা তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যকে উন্মোচিত করেছে। এই জিন-বৈশিষ্ট্যের জন্যই এখন নিশ্চিন্তে বলা যায়, বিবর্তনের সূত্রকে ধারণ করে চারপেয়ে এই লাফিয়ে চলা প্রাণীটি তাদের বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। আর এ বৈশিষ্ট্যই সুরক্ষা দেবে তাদের ভবিষ্যত্ অস্তিত্বকে। সূত্র বিবিসি।
বিজ্ঞানীরা ব্যাঙের জিন থেকে পড়ে নিয়েছেন এর আনুপূর্বিক ইতিহাস। এর ফলে ব্যাঙকে এখন ফেলা যায় মুরগি, ঘোড়া, ইঁদুর, ইয়েস্ট, প্লাটিপাস ও মানুষের একই কাতারে। তারা বলেছেন, একজন মানুষের সমান জিন রয়েছে ব্যাঙেরও। প্রায় ২০ হাজার। এই জিনের বৈশিষ্ট্য পাঠ করে জেনেটিক বিবর্তনের নতুন ইতিহাস উন্মোচন সম্ভব হবে। এতে এখন বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সংরক্ষণবাদীরা। ব্যাঙের জিন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর রোগবালাই সারানোটা এখন বেশ সহজ হয়ে উঠবে বলে তাদের বিশ্বাস।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, �মানুষের জিন সম্বন্ধে জানার পর আমরা ভাবছিলাম অন্যান্য প্রাণীর জিন সম্পর্কে গবেষণা করা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাঙের ব্যাপারটা এসেছে। আমরা এখন এই প্রাণীটির ব্যাপারে নিশ্চিত যে, এর একটি সুশৃঙ্খল এবং অনুক্রমিক জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।�
ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ালনাট ক্রীকের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি�স জয়েন্ট জেনোম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে ২০টি প্রতিষ্ঠানের ৪৮ জন জিন ও প্রাণীবিজ্ঞানীর যৌথ গবেষণার ফল এটা। গবেষক দলের প্রধান ড. হেলস্টেন বলেন, �ব্যাঙের জিন বিশ্লেষণ করে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এর ধারা কোটি কোটি বছরের পুরনো। এখন থেকে ৩৬ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে ব্যাঙ ছিল। তবে সেটার আকার-আকৃতি ঠিক কীরকম ছিল, এখন আর জানার উপায় নেই। সেই আদিকালের প্রজাতিটি বিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন আকার ধারণ করতে পারে। তাদের আকার ও বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষ ও মুরগির জিনের সঙ্গেও ব্যাঙের জিনগত বৈশিষ্ট্যের দূরতম সম্পর্ক হলেও খুঁজে পেয়েছি।�
Tonmoy- Junior Member
- Posts : 117
Join date : 2011-11-26
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|